Q
বর্তমানে যে সমস্ত শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় তার মধ্যে অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো হার্ট অ্যাটাক। বর্তমানে হার্ট অ্যাটাকের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে।
হার্ট অ্যাটাক তখন হয় যখন হৃদপিণ্ডে তো প্রবাহের মাত্রা মারাত্মকভাবে কমে যায় অথবা বন্ধ হয়ে যায়। হার্টে যে ব্লকেজ দেখা দেয় তা সাধারণত হৃদপিন্ডের ধর্মনিতে চর্বি অথবা কোলেস্টেরল এবং অন্যান্য পদার্থ জমা হওয়ার কারণে হতে পারে। চর্বিযুক্ত বা ক্লোলেস্টারোল অথবা অন্যান্য পদার্থের জমাট বাঁধাকে বলা হয়। প্লেক তৈরির প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় এথেরোস্ক্লেরোসিস।
কখনো কখনো এই প্লেটটি ফেটেও যেতে। এবং একটি জমাট তৈরি করেন যার রক্ত প্রবাহের বাধা সৃষ্টি করে। রক্ত প্রবাহের অভাবে হৃদপিন্ডের পেশির অংশতে ধ্বংস করতে পারে।
হার্ট অ্যাটাককে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনও বলা হয়।
হার্ট অ্যাটাক হলে বাঁচার জন্য যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে এবং অতি দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে হবে। অথবা কোন ব্যক্তি যদি প্রাথমিকভাবে বুঝতে পারে যে তার হার্ট অ্যাটাক হবে বা হতে পারে তাহলে অতি তাড়াতাড়ি নিকটবর্তী কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারে।
লক্ষণ:-
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। ব্যক্তি বিশেষ কিছু কিছু লোকের হালকা লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে থাকে আবার কিছু কিছু ব্যক্তির গুরুতর লক্ষণ প্রকাশ পায় আবার কোন কোন ক্ষেত্রে কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না।
হার্ট অ্যাটাকের কিছু সাধারণ লক্ষণ হল:-
- বুকে ব্যথা যা চাপ, আঁটসাঁট, ব্যথা, চেপে যাওয়া বা ব্যথার মত কিছু অনুভব বা অনুভূতি হতে পারে।
- ব্যথা বা অস্বস্তি যা কাঁধ, বাহু, পিঠ, ঘাড়, চোয়াল, দাঁত বা কখনও কখনও উপরের পেটে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
- ঠান্ডা বা ঘাম ঝরতে পারে
- ক্লান্তি বা অবসাদের দেখা দেয়
- কম্বল বা বদ জমের সমস্যা হতে পারে।
- হালকা হালকা মাথা ব্যাথা অথবা হালকা হালকা মাথা ঘুরতেও পারে।
- বমি বমি ভাব অথবা বমি হতেও পারে।
- নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় দীর্ঘ দূর্বলতা অনুভব হতে পারে।
মহিলাদের ক্ষেত্রে হাতে বা পিঠে অল্প থেকে মাত্রাধিক ব্যথা অনুভূত হতে পারে। অথবা তীক্ষ্ণ ব্যথা অনুভূতি হওয়ার মত লক্ষণ দেখা দিতে পারে। কখনো কখনো হার্ট এটাকে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে কার্ডিয়াক অ্যাটাক ও হতে পারে।
অনেকে অনেক সময় হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক করে। আবার অনেকের ক্ষেত্রেই হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আগে ঘন্টা খানেক আগে অথবা সপ্তাহখানেক আগে থেকেই অনেক রকম লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে। মাঝে মাঝেই বুকে ব্যথা অথবা মাত্রাধিক বদহজম অ্যাসিডিটি অথবা বিশ্রাম নেওয়ার সময় অস্বস্তি বোধ হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে এটি প্রাথমিক হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণও হতে পারে। হার্টে হঠাৎ করে রক্ত চলাচল কমে গেলে এনজাইনা হয়ে থাকে।
কখন ডাক্তার দেখানো উচিত:-
যদি কখনো কোন ব্যক্তি মনে করে যে তার হার্ট অ্যাটাক হবে বা হতে পারে তাহলে তাকে যে কাজগুলো করতে হবে:-
নিকটবর্তী কোন ডাক্তারের অথবা জর ুরী অবস্থা পরিষেবার জন্য জন্য কল করা । যদি জরুরী পরিষেবার কোন রকম লক্ষণ না দেখেন তাহলে নিকটবর্তী কাউকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলতে হবে। অথবা নিজেই নিজের প্রাথমিক উপায়গুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে যেমন Sorbitrate ব্যাবহার করা। হার্ট অ্যাটাকের সময় অ্যাসপিরিন গ্রহণ রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে হার্টের ক্ষতি কমাতে পারে।
তাড়াহুড়ো বসত হার্ট এটাকের লক্ষণ অনুভূত হলে অ্যাসপিরিন জাতীয় কোন ওষুধ গ্রহণ না করে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত ।
হার্ট অ্যাটাক হতে পারে এমন কাউকে দেখলে কী করবেন:-
যদি কেউ অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকে অথবা শ্বাসকষ্ট অথবা বুকে ব্যথা শুরু হয় তাহলে তাড়াতাড়ি জরুরী স্বাস্থ্য পরিষেবা নাম্বারে কল করতে হবে। তারপর পরবর্তী ধাপে ব্যক্তি শ্বাস নিচ্ছে কিনা অথবা তার হৃদস্পন্দন ঠিকঠাক চলছে কিনা সেইটা লক্ষ্য করতে হবে। তখনই সিপিআর শুরু করতে হবে যখন ব্যাক্তি শ্বাস না নেয় অথবা স্পন্দন ঠিকঠাক না চলে অথবা বন্ধ হয়ে থাকে।